বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানি নীতি সংস্কারের আহ্বানে সাতক্ষীরায় জনসংযোগ, নাগরিক সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ এর নেতৃত্বে এবং বিডব্লিউজিইডি ও ক্লিন এর সহযোগিতায় রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০টায় শহরের শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাগরিক সভা ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারি বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণে জাতীয়ভাবে তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া, অপ্রতুল তহবিল, পুরোনো অবকাঠামো এবং নীতির ফাঁক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তাছাড়া বর্তমান ট্যারিফ কাঠামোও নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, যা নতুন প্রকল্পগুলিকে আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়া কঠিন করে তোলে। বক্তারা নবায়নযোগ্য শক্তিকে প্রবাহিত, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর করতে নির্দিষ্ট ও কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরা বাংলাদেশের শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের পথে বাধা অপসারণের একটি রূপান্তরমূলক আন্দোলনের কেন্দ্র্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। যে কারণে আজকের নাগরিক সভায় নীতিনির্ধারক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন জড়ো করা হয়েছে, যাতে দেশে শক্তি সংস্কারের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা যায়।
এছাড়াও নাগরিক সভায় বক্তারা বিদ্যমান ট্যারিফ কাঠামোর পর্যালোচনার জন্য দাবি জানান, যাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যায়, যা দেশে পরিষ্কার শক্তির দ্রুত বণ্টনকে ত্বরান্বিত করবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মধাব চন্দ্র দত্ত, মো. আব্দুস সামাদ, স্বপন পান্ডে, রজকুমার, কুমারেশ দাস, করসার আলী, গাজী মহিদা মিজান, জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল বারী, মনোয়ারা খাতুন, জয় সরদার প্রমুখ।
স্বদেশ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি পরিবেশগত উদ্যোগ নয় বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি নকশা। আমাদের শক্তি নীতির সংস্কার এবং প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলি মোকাবিলা করে, আমরা কেবল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করছি না, বরং এমন একটি টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলছি যা প্রতিটি বাংলাদেশির উপকারে আসবে।
তিনি আরও বলেন, দাবির পক্ষে প্রচারণা কার্যক্রম ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ সাতক্ষীরা এবং তার বাইরের স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করছে। লক্ষ্য একটাই: জনগণের সমর্থন অর্জন করা, নীতিনির্ধারকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের জন্য একটি পরিষ্কার, সবুজ ভবিষ্যতের জন্য অর্থবহ সংস্কার চালু করা।
খুলনা গেজেট/এনএম